ee88

বাকৃবিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের নবাগত ছাত্র-ছাত্রীদের কেন্দ্রীয় ওরিয়েন্টেশন ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ (শনিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ও সাবেক রাষ্ট্রদূত প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।





ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এবং ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুল হক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ জয়নাল আবেদীন, প্রভোস্ট পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ড. মোঃ রুহুল আমিন, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল আলীম এবং রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মোঃ হেলাল উদ্দীন। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গ্রামের রাখাল বালক যার মেধা কম ছিল না কিন্তু স্কুল-কলেজের গন্ডি পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য আসতে পারিনি। কিন্তু তোমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছ, তাই তোমরা সৌভাগ্যবান।  শ্রেণীবিভক্ত এই সমাজ ব্যবস্থায় তোমরাই পারবে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে, যেমনটি তোমরা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে দেখিয়েছো। সেজন্য প্রথমে তোমাদের নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করতে হবে জ্ঞান আহরণের মধ্য দিয়ে। শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় তোমার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দিবে, তুমি সে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে নিজেকে উত্তম মানুষ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে, দেশ ও জনগণের স্বার্থে আত্মনিয়োগ করবে। সুতরাং জ্ঞানচর্চাই হবে এখন থেকে তোমাদের প্রথম দায়িত্ব।

এছাড়াও বাকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর বক্তব্যের শুরুতেই ১৯৫২ থেকে শুরু করে ৬৯, ৭১, ৯০ এবং সবশেষে ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যাঁরা দেশের জন্য, ভাষার জন্য, রাষ্ট্রের অখন্ডতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তাঁদের সকলকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। এসময় তিনি বলেন, বাকৃবি একটা গৌরবান্বিত নাম, একটি ব্র্যান্ড। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা খাদ্য উৎপাদন ও স্বয়ংসম্পূর্ণতার পেছনের কারিগর। ১৯৭১ সালের সাড়ে ০৭ কোটি মানুষ বেড়ে এখন ১৭ কোটি ছাড়িয়েছে, এই বিপুল জনগোষ্ঠীর পুষ্টি এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য নিরলসভাবে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে বাকৃবি'র গ্রাজুয়েটগণ। একসময় বাংলাদেশকে বলা হতো তলানিবিহীন বাস্কেট, এখন সেটা মিউজিয়ামে চলে গিয়েছে। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ তলানিবিহীন বাস্কেট বলতে পারবে না যদি না কোন স্বৈরশাসক বা শোষকগোষ্ঠী বাংলাদেশে আর ফিরে না আসে। এছাড়াও তিনি বলেন, এক সময় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং নামে একটি বিষাক্ত শব্দ ছিল। ৫ আগস্ট এর পর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং নামক শব্দটি শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে। ভয়হীন শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে নবীন শিক্ষার্থীরা বাকৃবিকে আরো অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 


সহযোগী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ'র সঞ্চালনায় নবীন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য থেকে অভিব্যাক্তি প্রকাশ করেন ভেটেরিনারি অনুষদের ছাত্র মোঃ মুতাসসিমুল ইসলাম ও কৃষি অনুষদের নুসরাত তাহমিনা ভূইয়া। 

অনুষ্ঠানে সকল অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও নবীন শিক্ষার্থীসহ  কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Publish Date: 04 Jan, 2025